পরিণামহীন, ২০১৪
১.
রক্তিম হে, এসেছো আহ্নিক শেষে
দিনের আলোর মতো নীল পূর্বাকাশ!
প্রাচীন,অধুনা, অল্পদাগী, নানা মতো পৃথিবীর
উদ্ভাসিত পাপ আর রিক্ত মহাকাশ...
২.
জ্যোস্নায় ফুটিফাটা হয়ে আছে
গ্রষ্মরাত্রির কালো মাঠ।
সহস্র বছর হল?
কুরুক্ষেত্রে রক্তকাদা মাখা সেই ইচ্ছামৃত্যুখাট?
৩.
পাবে না পাবে না কিছু নবজন্ম ভাবীকালে এই ছিন্নবাসে
ছড়ানো ছিতানো কিছু মাতৃরক্ত, মন্দির-চাতালে দূর্বাঘাসে...
৪.
সম্মুখে যতই বলো, যাক সব জলাঞ্জলী
যতিচিহ্নে রতিচিহ্নে ভয়ঙ্কর শাপে
আসলে সমস্ত পাপ কল্কা আঁকা, তোরঙ্গতে ভরা,
ঝুলিছে যমপটে দেয়ালের মাপে...
৫.
সূচিছিদ্র ক্যামেরায় উল্টে আছে বেবাক পৃথিবী
আর জীবন অন্তর্গত আলো
রজনীগন্ধা তোর আকাশ উল্টে আছে পুকুরের জলে
ওগো, গন্ধসুধা এই বেলা ঢালো...
৬.
হরিষে বিষাদ এসে ঢেকে দিল তোমার জীবনী
কলম প্রয়াস অভিযান
মায়া কুহকিনী, তার খাপলা জাল ছুঁড়ে ফেলে
মহাশূন্যে মাছ ধরে যান...
৭.
আকাশ ছড়ায়ে আছে শান্তি হয়ে আকাশে আকাশে
আকাশের ওপারে আকাশ?
নগ্ন নির্জন হাত অভিমানে মুছে নেয় নির্জন সাক্ষর
নিজ শুভনাম—জীবনানন্দ দাশ।
৮.
ল্যাপিস-লাজুলি চূর্ণ নীলবর্ণ রঙ দিয়ে
জাগিয়ে তুলছি এই বহমান জাতক জীবন—
অবলোকিতেশ্বর গেছে কোন পথে?
তার ভিক্ষাপাত্রে কিছু অন্ন কিছু অনশন...
৯.
সম্মোহনের থেকে ফিরে এসে বোবা জাদুকর
চলে গেছে চিরায়ত আলখাল্লা নিয়ে
ওই জাদুময় বিষাদচুড়ার থেকে
অতলের দিকে গড়িয়ে পড়ছে পাহাড়...
১০.
তোমাকে ভালবেসে হত্যাকরেছি তাই আমার নাম দিলে ওথেলো, হায়
দেসদিমোনা তুমি? রুমালে কার নাম? অন্ধকারে লড়ে ও-কার ছায়?
আমারই চেতনার অবশ হাতগুলি ধরেছে চেপে গলা, ঘুমন্ত...
তুমি কি জেগে ছিলে! জানতে সবটাই ? তবুও এ আগুন নিভন্ত...
১১.
আমার ব্যথার কাছাকাছি কিছু বল
পারাবার থেকে হাওয়া বয় খুব শান্ত
যদি বুকের উপরে ঘনঘোর কিছু দুঃখ
রাখো আমার ব্যথার ওপরে ও-হাত
ক্লান্ত...
১২.
একবার আলো, একবার অন্ধকার হও
তোমার অতীত তুমি গড়িয়েছো পশ্চিমের দিকে
এ জীবন, ভবিতব্য সম্মুখেতে বও...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন